হয়রানির শেষ নেই নওগাঁ পাসপোর্ট অফিসে
হয়রানির শেষ নেই নওগাঁ পাসপোর্ট অফিসে
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
০৯-১২-২০২৪ ০৯:২৫:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-১২-২০২৪ ০৯:২৫:৪৬ অপরাহ্ন
ভুল ধরলেও সমালোচনায় পড়েন আবার ভুল না ধরলেও সমালোচনায় পড়তে হয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মরতদের। আর এই সুযোগটা কাজে লাগায় কম্পিউটারে অনলাইনে আবেদন করে দেওয়া দোকানিরা। অভিযোগ, অনলাইনে আবেদন করতে আসা সেবাগ্রহীতাদের কৌশলে হয়রানির ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। অজুহাত হিসেবে বলছেন, তাদের সঙ্গে চুক্তি করলে আবেদন জমা দিতে কোনো সমস্যা হবে না। আর বিনিময়ে দুর্নাম হচ্ছে পাসপোর্ট অফিসের লোকজনের। দুর্নাম থেকে পিছিয়ে নেই পুলিশও। তাই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছেন সংশ্লিষ্টরা।
বলছি নওগাঁ পাসপোর্ট অফিসের কথা। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন বেকায়দায়। কারণ, দোকানিদের কাছে সেবাগ্রহীতারা আবেদন জমা দিতে গেলে সমস্যা হতে পারে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভোগান্তি তো আছেই। এসব বলেই মন বিগড়ে দিচ্ছে তাদের। তবে অনেকেই শুধু অনলাইনে আবেদন করে নিজেরাই জমা দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতারা চুক্তিতে না গেলেও ৩০০-৪০০ টাকা ইনকাম করছেই। তাই তারা আছে ফুরফুরে মেজাজে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কম্পিউটার দোকানে অনলাইনে আবেদন করতে গেলে তারা কৌশল হিসেবে বলেন, আপনি নিজে করবেন নাকি আমাকে দিয়ে করে নেবেন। ফলে ঝামেলা হতে পারে, এই ভয়ে কিছু কিছু ব্যক্তি রাজি হয়ে যান। সেক্ষেত্রে তাদের দিতে হয় অতিরিক্ত আড়াই থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। তবে তাদের অতিরিক্ত টাকার রেট একই। আর বাইরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দালালের কাছে গেলে পকেট কাটা যাচ্ছে বেশি। কারও জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে তাদের গুনতে হচ্ছে বেশি টাকা। অন্যদিকে দালালদের কারণে মানুষের মন থেকে বের হতে পারছে না পুলিশের ঘুষ নামক শব্দটির প্রচলন। তাদের কারণে এই ঘুষ নামক শব্দটির প্রচলন থেকে বের হয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়েছে পুলিশের।
ঔ এবং ত-এর সমস্যায় পড়েছিল এক ছাত্র। এসএসসি পাস ওই ছাত্র পড়াশোনা করতে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে এসেছে। নিজেই অনলাইন ও টাকা জমা করেছে। মার্কশিট সনদে নামের শেষে লেখা আছে ত আর জন্মসনদে লেখা আছে ঔ, সেই অনুযায়ী পাসপোর্ট আবেদনে লেখা আছে ঔ, আবেদন জমা দিতে গেলে তাকে বলা হয় এভাবে জমা দিলে আপনার নাম কিন্তু ঔ দিয়েই আসবে। হতাশ হয়ে বাড়িতে ফোন করে সাজেশন চাইল। তবে জন্মসনদ ঠিক করলে আবেদন ঠিক করা যাবে বলে জানালেন অফিসের এক কর্মকর্তা। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে খুশিতে ধন্যবাদ জানাল ওই ছাত্র।
একইভাবে গ এবং ঘ-এর সমস্যায় পড়েছিলেন সাগর নামের এক যুবক। তিনি জেলার মান্দা থেকে ছোট ভাইকে নিয়ে এসেছিলেন পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে। ছোট ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রে ইংরেজিতে নামের বানান গ-এর জায়গায় ঘ ছিল, তবে বাংলা বানান সঠিক ছিল। তাই জমা নেওয়ার সময় ভুল ধরে নামের বানান ঠিক করে নিয়ে আসতে বলেন। তা ছাড়া এভাবেই পাসপোর্ট বই পাবেন বলে জানান। সমাধান পাওয়ার আশায় সহকারী পরিচালকের (এডির) কাছে গিয়ে সাজেশন পেয়ে খুশি হন তারা।
আতিক ও ইসলাম নামে দুই বন্ধু এসেছিলেন তাদের পাসপোর্ট নিতে। একই দিনে তারা পাসপোর্ট বই পেয়েছেন। ইসলাম নিজে করেছেন। তার খরচ হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। বন্ধু ইসলাম কম খরচে পাসপোর্ট বই পাওয়ায় আতিক নিজেকে দোষারোপ করলেন। কারণ, আতিক জানালেন তিনি সজীব নামের এক দালালের মাধ্যমে করেছেন। ভোটার আইডি ছিল না, তাই তার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
একইভাবে জন্মনিবন্ধন দিয়ে করার কারণে এক ছেলের কাছ থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা নিয়েছে এক দোকানি। ওই ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন দুজন নারী। তারাও জানালেন, ছেলের জন্মনিবন্ধন দিয়ে করছি, তাই ওই টাকা দিতে হয়েছে দোকানিকে।
এ ছাড়া পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য একজনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। তাকে ওই দোকানি শিখিয়ে দিয়েছিল ৪ হাজার ৩০০ টাকা বলার জন্য। এদিকে আবেদন জমা দিতে গেলে তার বয়স কম হওয়ায় একজন অভিভাবককে আসতে বলা হয়। বিপদে পড়ে যান আবেদন জমা দিতে যাওয়া ওই ছেলে। পরে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে তাকে বিষয়টি বললে তিনিও তার অভিভাবককে আসতে বলেন। এর আগে তাকে বলা হয়েছিল কাউকে আসা লাগবে না। বাধ্য হয়ে তিনিও ছেলেটির বাবাকে ডাকতে বলেন। এরপর বাবা আসার পর ছেলেটির আবেদন জমা নেওয়া হয়।
আর এভাবেই অনেক সময় সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ঢিল মারার মতো সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন তারা। কারণ, তারা ভালো করেই জানেন কী কী কাগজ লাগবে এবং সিরিয়াল অনুযায়ীই আবেদন জমা দিতে হবে। কয়েকদিন অফিসে ঘুরে দেখা গেছে লাইন ধরে আবেদন জমা নিতে এবং অন্যান্য কাজ লাইন ধরেই করতে হয়েছে। আবার পাসপোর্ট বইও নিতে হয়েছে নিয়মমাফিক। আর যদি কোনো কারণে কারও আবেদন তাড়াতাড়ি জমা হয়ে যায়, তাহলে ক্রেডিট নিয়ে বসেন সেই দোকানি। আবার কাগজের সমস্যা ধরে কাউকে ফেরত পাঠালে সেখানেও বলা হয়, আপনাকে আগেই বলেছিলাম সমস্যা হতে পারে।
জরুরি এক্সপ্রেস পাসপোর্টের জন্য ৮ হাজার ৫০ টাকায় আবেদন করেছিলেন সদর থানার আদম দুর্গাপুর এলাকার ২২ বছরের এক ছেলে নিজেই। ২৮ নভেম্বর পাসপোর্ট দেওয়ার তারিখ ছিল। তাই পাসপোর্ট বই নিতে এসেছিলেন ওই যুবক। জানতে পারেন তার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এখনো আসেনি পাসপোর্ট অফিসে। তাই কাগজপত্র নিয়ে যেতে চাইলেন ডিএসবি অফিসে।
গত ২৭ ও ২৮ নভেম্বর সরেজমিন গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়। অফিসে দেখা যায়, প্রথম পর্যায়ে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে জমা নেন দুজন। মূলত তারা যেসব আবেদনে গৃহীত হলো বলে সিল মেরে দেয়, তারাই ফিঙ্গারের জন্য মনোনীত হয়। আর যাচাই-বাছাইয়ে কোনো অসংগতি বা সমস্যা হলে সেই সমস্যার কথা সেবা গ্রহীতাকে বলে দিচ্ছেন, সঙ্গে সমাধানের উপায়ও। আর এতেই সেবাগ্রহীতারা অন্য কিছু মনে করে বসেন। তখন সুযোগ নেয় আবেদনকারীরা বা সুযোগসন্ধানী দালালরা। তবে ৩ ও ৪ ডিসেম্বর পাসপোর্ট অফিসের বাইরে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী অপেক্ষা করেন এই প্রতিবেদক। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় তার। তাদের কেউ নিজে আবেদন জমা দিয়েছেন, আবার কেউ নিজে জমা দিয়ে পাসপোর্ট পেলেন।
এমনই একজন নয়ন। তিনি শুধু অনলাইনে আবেদন করে সহজেই জমা দিয়ে এসে জানালেন, আমি কেন বেশি টাকা দিতে যাব। আমার কাগজ ঠিক, তো সব ঠিক। জমা দিতে কোনো অসুবিধা হয়নি। তাই আমি সবার উদ্দেশে বলব, অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার কোনো দরকার নেই। দরকার নেই কোনো দালাল ধরার। আরও কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি বই নিতে এসে জানালেন, দেরি হলেও দালাল ধরা যাবে না। কারণ কাগজপত্র সঠিক থাকলে আবেদন জমা নিচ্ছে তারা। কোনো ঝামেলা করার প্রশ্নই ওঠে না। একাধিক অনলাইন দোকানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণ, এক্সপ্রেস এবং সুপার এক্সপ্রেস ক্যাটাগরির পাসপোর্ট সেবা আছে। দশ বছরের জন্য সাধারণ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস (জরুরিটা) ৮ হাজার ৫০ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
তারা বলেন, কেউ যদি সাধারণ পাসপোর্ট আমাদের দিয়ে করে নিতে চায় তাহলে আমরা সাড়ে ৮ হাজার এবং জরুরিটা সাড়ে ১১ হাজার টাকা নিই। পুলিশ ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব আমাদের। এ ছাড়া কেউ নিজে করে নিতে চাইলে আমরা শুধু অনলাইন চার্জ দুইশ এবং ব্যাংক চার্জ (মোবাইলে বিকাশ থেকে দেওয়ার জন্য) দুইশ টাকা নিয়ে থাকি।
একজন দোকানদার জানান, ইন্ডিয়ার ভিসা বন্ধ থাকায় কাজের পরিমাণ কমে গেছে। একটা কাজ করে সর্বোচ্চ দু-তিনশ টাকা থাকে। আর যেটা কন্টাকে নিতে পারি, সেটাতে আরও ৫০০ টাকা। বাইরের অনেক ব্যক্তি এই কাজের সঙ্গে জড়িত আছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন মাসুম, বাবু, সালাম, ফটিক, মঞ্জুসহ অনেকে। এর মধ্যে মাসুম কোর্ট এলাকায় বসে এবং সবচেয়ে বেশি কাজ করে। সে টপে আছে।
মাসুমের কাছে সুজন নামে এক সেবাগ্রহীতা পাসপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাঁচ বছরের জন্য ৭ হাজার এবং দশ বছরের জন্য সাড়ে ৮ হাজার টাকা লাগবে। আর জরুরিভাবে করলে ১১ হাজার টাকা লাগবে, যেটা ৯ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
সুজনের মতো এই প্রতিবেদক সাংবাদিক পরিচয় গোপন রেখে মাসুমের কাছে পাসপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইল। তিনি দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই সরাসরি জানালেন, আমি কোর্টে বসি। জরুরিটা ৯ দিনের মধ্যে করে দিতে পারব। সেক্ষেত্রে ১১ হাজার টাকা লাগবে। আর অর্ডিনারিটা সাড়ে ৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৫ বছরেরটা সাড়ে ৬ হাজার টাকা লাগবে।
পরিচয় গোপন রেখে এই প্রতিবেদক অনলাইনে আবেদন করে দেয়, এমন দোকানে যায়। তারা জানালেন, আমাদের কাছে করলে নরমাল সাড়ে ৮ হাজার আর জরুরি দশ দিনে সাড়ে ১১ হাজার। টোটাল আমরা করব। পুলিশ ফোন নাও দিতে পারে। আবার ফোন দিলেও শুধু নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করতে পারে।
স্থানীয় দোকানি আসলাম (ছদ্ম নাম) বলেন, এখানে পাঁচ বছর ধরে ব্যবসা করছি। কাগজপত্র সঠিক থাকলে আপনি নিজেই করতে পারবেন। একইভাবে কম্পিউটারে অনলাইন করে দেওয়া একাধিক দোকানি জানালেন অযথা বেশি টাকা দিয়ে আবেদন করতে যাবেন কেন? সব কাগজ ঠিক থাকলে এমনিতেই জমা নেন তারা। আর কাগজে কোনো সমস্যা হলে বা থাকলে উপপরিচালকের কাছে গেলে সমাধান পেয়ে যাবেন।
এদিকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভোগান্তির কথা অনেকেই জানালেন। এখন আর উপজেলায় হয় না। হঠাৎ একদিন ফোন দিয়ে বলেন নওগাঁ শহরে আসতে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কীভাবে আসা সম্ভব? এমনটিই জানালেন ভাইয়ের পাসপোর্ট করতে আসা বড় ভাই সাগর। তিনি বলেন, ভেরিফিকেশন করতে হলে নওগাঁয় আসতে হয়, যা একটা ঝামেলা। আগে প্রতিটি থানায় হতো, এখন আর তেমন হচ্ছে না।
একজন দোকানি জানালেন, আগে ডিএসবিতে একজন ছিলেন খুব অভিজ্ঞ। তিনি সঠিকভাবে কাজ বণ্টন করতেন। এখন বণ্টনের দায়িত্বে যে দুজন আছেন, তারা কাজ তেমন বোঝেন না। তাই ভোগান্তি হচ্ছে।
তবে দুদিন সরেজমিন ঘুরে ও কথা বলে জানা যায়, পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের ব্যবহার খুব ভালো। তার কাছে যে কেউ যেতে পারছে অনায়াসে। সহজেই দিয়ে দিচ্ছেন সমাধান। এমনটিই জানালেন পাসপোর্ট করতে এসে সমস্যা থেকে নিরসন পাওয়া একাধিক সেবাগ্রহীতা।
জানতে চাইলে নওগাঁ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক সাধন সাহা কালবেলাকে বলেন, সেবাগ্রহীতাদের জন্য অফিসের বাইরে সিটিজেন চার্টার টানানো আছে। সংশোধনের জন্য প্রযোজ্য অঙ্গীকারনামা ফরম অফিস কর্তৃক সরবরাহ করা হয়। জাতীয় পরিচয় পত্রের ভেরিফায়েড কপি অফিসপ্রধান কর্তৃক যাচাই করে সেবাগ্রহীতাকে সরবরাহ করা হয় এবং কম্পিউটারে আপলোড করা হয়। যথাযথভাবে সঠিক কাগজ দিয়ে আবেদন জমা দিলে শতভাগ আবেদন গ্রহণ করা হয় এবং আবেদনের সময় কোনো সমস্যা থাকলে তা সংশোধনপূর্বক জমা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি মানুষকে সেবা দেওয়ার। আর আমার জানামতে সেবাগ্রহীতাদের অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার কথা না। কারণ অফিসের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলে আমরা জমা নিতে বাধ্য। অনেক ক্ষেত্রে নামের বানানে ভুল থাকে। সেক্ষেত্রে সংশোধনের জন্য বলা হয়। আবার কোনো কাগজ জমা না দিলে সেটাও বলা হয়। আর এসব ভুল ধরার কারণে সাধারণ জনগণের মনে বাইরে থেকে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। তাই ভুল ধরলেও সমালোচনা আবার ভুল না ধরলেও সমালোচনায় পড়তে হয়।
জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান ভূঁইয়া মোবাইল ফোনে কালবেলাকে বলেন, সাধারণত এরকম হওয়ার কোনো কথা নয়। আমরা নিজ নিজ থানার মাধ্যমেই পুলিশ ভেরিফিকেশন করে থাকি। তবে অনেক সময় জরুরিভাবে করার জন্য পার্শ্ববর্তী থানার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। পুলিশকে ঘুষ নামক প্রচলন থেকে বের হয়ে আসতে দেওয়া হচ্ছে না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ যদি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে এসব কথা বলে থাকে, তাহলে এটা তার ছলনা। তারা যা বলার বলুক, আমরা আমাদের জায়গা থেকে সঠিকভাবে কাজ করছি। আমরা শুধু ভেরিফিকেশন করি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload
কমেন্ট বক্স